আজানের দোয়া | Azaner Dua Bangla

আজানের দোয়া: অর্থ ও ফজিলত

আজানের পর পড়া দোয়া একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। এই দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা নবী করীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ পাঠ করি এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি।

আজানের দোয়া:

আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।  

আজানের দোয়ার বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! এই আজানের মালিক, এই নামাজের মালিক, মুহাম্মদ (সাঃ) কে ওসিলাত (মধ্যস্থতা) এবং ফজিলত দিন। তাকে উঁচু দরজায় উঠান এবং তাকে সেই সম্মানিত মর্যাদা দিন যা তুমি তার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছ। এবং قیামতের দিন আমাদের জন্য তার শাফাআত দান করুন। নিশ্চয়ই তুমি কখনোই নিজের ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।”

আজানের দোয়া পড়ার ফজিলত:

  • নবী করীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ: এই দোয়ার মাধ্যমে আমরা নবী করীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ পাঠ করি।
  • আল্লাহর কাছে দোয়া: আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে নবী করীম (সাঃ)-কে উঁচু মর্যাদা দান করার জন্য দোয়া করি।
  • শাফাআতের আশা: আমরা নবী করীম (সাঃ)-এর শাফাআতের আশা রাখি।
  • আল্লাহর ওয়াদার উপর বিশ্বাস: এই দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার ওয়াদার উপর বিশ্বাস প্রকাশ করি।

আজানের পর এই দোয়া পড়ার অভ্যাস করা উচিত। এটি আমাদের ইমান বাড়াতে এবং নবী করীম (সাঃ)-এর প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে সাহায্য করে।

About ফাহাদ মজুমদার

Check Also

কোরবানির পশুর যে ৭টি অংশ খাওয়া হারাম

কোরবানির পশুর যে ৭টি অংশ খাওয়া হারাম, এমন কোন নির্দিষ্ট হাদিস বা কোরআনের আয়াত নেই। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *