ইসলামপন্থীরা যুক্তি দেখায় “মহাবিশ্বের যা কিছু আমরা আবিষ্কার করেছি ও ধারণা করেছি, তার সবকিছুই প্রথম আসমানের ভেতরে”। এই ব্যাপারে নাস্তিকদের মতামত কী?

আমার এখানে মতামত অনেকটা এরকম।

নাস্তিক মানেই জ্ঞ্যানী না। অনেক ষ্টুপিড আছে নিজেকে জাহির করে নাস্তিকতা ব্যবহার করে। আবার অনেক ইসলামপন্থি আছে যারা নিজেদের ষ্টুপিডটি ঢাকার জন্য আল্লাহকে ব্যবহার করে। নিজের মূর্খতার সামনে যারা আল্লাহকে ব্যবহার করে তারা কোন দিক থেকেই ভালো হবার কথা নয়।

আবার যেসব নাস্তিক ষ্টুপিডের ভাবখানা এইরকম যে মসজিদের কেউ কিছু জানেনা, জানে খালি ওদের ফেভারিট কিছু লাংটু নাস্তিক প্রফেসর তাদের কাছ থেকে মতামত নিতে যাওয়াটাও সময় নস্ট ছাড়া আর কিছুনা।

ইসলাম সত্যি কিনা আমি জানিনা, যদি হয়, তাহলে মসজিদের যারা কোরান নিয়ে কথা বলে তারা মূলত বিজ্ঞানিদের চেয়েও বিশ্ব সম্পর্কে বেশি জানে যেহেতু এগুলো যে বানিয়েছে তার কাছ থেকে পাওয়া বই তারা ঘেটে দেখছে।

সমস্যা হলো বিজ্ঞান মূলত এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারেনা। যেকোন উচ্চ লেভেলের বিজ্ঞানী যারা মূলত মিডিয়া না বরং বৈজ্ঞানিক কাজ করেন তাদের কথা শুনলে বুঝতে পারবেন যে তারা স্বীকারই করছে এই বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বেশি কিছু জানা নেই। আলোর সীমাই হলো আমাদের জ্ঞ্যানের সীমা। আলোর সীমার বাইরে যেসব বস্তু আছে সেগূলো আমাদের গবষনার সীমার বাইরে। যেগূলো সীমার মধ্যে আছে সেগূলো সম্পরকেও বেশি কিছু জানা নেই আমাদের।

সারনের একজন গবেষককে বলতে শুনেছিলাম একটা ভিডিওতে যে, আমাদের বিজ্ঞান দিয়ে অনেকেই মহাবিশ্বকে বোঝার চেস্টা করেছেন। সমস্যা হলো এই বিজ্ঞান দিয়ে মূলত মহাবিশ্বের ৫ শতাংশের কিছুটা ব্যখ্যা দেয়া যায়। বাকি ৯৫ শতাংশই মূলত ব্যখ্যার অতীত রয়ে গেছে এখনো।

আজ থেকে ১০০ বছর আগের অনেক কিছুই ভুল প্রমানিত হয়েছে। মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞ্যান যদি ৫ শতাংশ পারফেক্ট ভাবেও ধরে নেই তারও কিয়দংশ ১০০ বছর পর ভুল প্রমানিত হতে পারে। যারা ষ্টুপিড তারা কয়েকটা প্রচলিত জিনিস ধরে তর্ক করতেই থাকবে। এধরনের ষ্টুপিড চেনার কয়েকটা উপায় নিচে দিলাম –

১। এই ষ্টুপিড গুলো জেনারালাইজেশনে অভ্যস্ত। অর্থাৎ পুরো একটা দেশের মানূষদের ভালো কিংবা খারাপ বানিয়ে দিতে ওস্তাদ। যেমন ধরুন আমি যদি বলি মসজিদে বিজ্ঞান নেই, এখন বিভিন্ন দেশের অনেক বড় বড় বিজ্ঞানি আছে যারা মুসলিম এবং নিয়মিত মসজিদে যায় যাদের জ্ঞ্যানের তুলনায় আমি নির্বোধ। আর এদেরকে জেনারালিজ করে আমি নিজের নির্বুদ্ধিতাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেলাম।

২। এই ধরনের ষ্টুপিড আপনার দেয়া লজিক গুলো বুঝবেনা। অর্থাৎ আপনি যদি কোন টপিকে একটা সলিড যুক্তি দেন যে যুক্তি খন্ডন করতে না পারলে তার অপজিশন মুলত ভূল প্রমাণিত হয়, এই যুক্তির সিগনিফিকেন্স এই স্টুপিড বুজবেনা। অর্থাৎ সে অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজাইরা তর্ক চালিয়ে যাবে কিন্তু লজিকে হাত দিতে পারবেনা যেহেতু এরা লজিক বোঝেইনা, এদের কাজই আজাইরা তর্ক করা।

৩। স্নাতক, কোন বিষয়ে পিএইচডি বা কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করে বা যাদের আছে তাদের ধরে ধরে সামনে তূলে শীল্ড হিসেবে ব্যবহার করবে। ধরুন কোন এক নামকরা ব্যক্তি হয়তো আজগুবি কিছু একটা বললো, সেই আজগুবি কথা আপনার সামনে তুলে বলবে এই নামকরা ব্যক্তির তুলনায় আপনি কিছুনা, তাই আপনার মতামতের দাম নেই। তাহলে ব্যটা তুই আমার কাছে আসছোস ক্যান ?

আমি কোন পন্থিতে বিশ্বাস করিনা। নিজেকে কোন ক্যাটগরিতেও ফেলিনা। যেহেতু আল্লাহ আছে না নেই সেটা আমি আরেকজন মানূষের কাছ থেকে জানা যাবে আশা করিনা তাই মানূষের মুখের কথা বা যুক্তি গুলো কাউণ্ট করিনা কারন ঈশ্বরের ব্যপারে তার জ্ঞ্যান আমার থেকে বেশি না। কারন সম্ভব না বেশি হওয়া, যতক্ষননা ঈশ্বর তার কাছে এসে নিজের পরিচয় রিভিল করে।

এখন শুধু মহাবিশ্ব না, বরং আমাদের পৃথিবী সম্পরকেও আমাদের জ্ঞ্যান খুবই কম। আমরা কোন আসমানের মধ্যে আছি এগুলো বিজ্ঞান দিয়ে জানা সম্ভব নয়। ধর্মটা সত্যিকার ঈশ্বরের কাছ থেকে না এসে থাকলে সেটা দিয়েও জানা সম্ভব নয়।

About ফাহাদ মজুমদার

Check Also

নারীর মন জয় করার কৌশল / মেয়েদের আকৃষ্ট করা

মেয়েদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে কথাবার্তা এবং আচরণে কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক রয়েছে যা কার্যকর হতে পারে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *