ইতিহাসের এমন কিছু ভয়াবহ ঘটনা কী যা অধিকাংশ লোকই শোনেনি?

একজন জার্মান ইতিহাসবিদ একটি নতুন বইয়ে অনুমান করেছেন যে ফরাসি, ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সৈন্যরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের সময় এবং পরে 860,000 জার্মানকে ধর্ষণ করেছিল, যার মধ্যে আমেরিকান সৈন্যদের দ্বারা 190,000 যৌন নিপীড়ন রয়েছে।

https://www.thelocal.de/20150305/book-world-war-ii-allied-soldiers-raped-nearly-1mil-germans/

মনে রাখতে হবে এটা কিন্তু যুদ্ধকালীন হত্যাকান্ড বা ধর্ষণ নয়, যুদ্দে জয়ের পরবর্তী সময়ে হেরে যাওয়া দেশে এই নারকীয়তা চালায় যৌথ বাহিনি।

বর্তমানে বিজয়ী বাহিনি নাতসি বাহিনির যেসব কর্মকাণ্ডের কথা প্রচার করে তা মূলত তারা নিজেরাও বহুগুনে জার্মান এবং জাপানিদের উপরে করেছে পরবর্তী সময়। বিজয়ীরা করেছে বলে তার নৃশংসতা কিন্তু এক বিন্দুও কম নয়। বরং আরও জঘন্য কারন সেটা যুদ্ধকালিন সময়ে ঝোকের বশে ঘটেনি। ঘটেছে ঠান্ডা মাথায়।

বর্তমান তো ইতিহাসেরই এক অংশ, তাই বর্তমানের কিছু দেই কি বলেন ? এগুলো সম্ভবত আপনি শোনেননি। আপনি হয়তো ইউরোপিয়ার কিছ ফটো দেখে মুগ্ধ হয়েছে। বিশ্বাস করুন, বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা আছে সেগুলো দেখলেও আপনি মুগ্ধ হতেন।

যাই হোক, এখানে তো মুগ্ধ হবার জন্য আসেননি, এসেছেন আতংকিত হতে। তাই উন্নত বিশ্বের কিছু আতংক দেখাই।

এখানে 10টি দেশে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের হার রয়েছে:

  1. বতসোয়ানা (92.93)
  2. লেসোথো (82.68)
  3. দক্ষিণ আফ্রিকা (72.10)
  4. বারমুডা (67.29)
  5. সুইডেন (63.54)
  6. সুরিনাম (45.21)
  7. কোস্টারিকা (36.70)
  8. নিকারাগুয়া (31.60)
  9. গ্রেনাডা (30.63)
  10. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস (28.62)

খেয়াল করুন সুইডেন আছে ৫ নাম্বারে, বিশ্বের সব চেয়ে ধরষন প্রবন শীল দেশ গুলোর মধ্যে!

https://worldpopulationreview.com/country-rankings/rape-statistics-by-country

সুইজারল্যান্ড একটি ইউরোপীয় উন্নত দেশ। যেখানে প্রতি পাঁচজন নারীর একজন যৌন সহিংসতার শিকার হয়।

https://www.amnesty.org/en/latest/press-release/2019/05/switzerland-one-in-five-women-is-a-victim-of-sexual-violence/

এখন আসুন ইউরোপ থেকে মহাসাগর পেরিয়ে আরেকটা উন্নত দেশে যাই – যুক্তরাষ্ট্র যেখানে 2022 সালে এখন পর্যন্ত 300 টিরও বেশি ম্যাশ শুটিং তথা গণ গুলির ঘটনা ঘটেছে !!

https://www.washingtonpost.com/nation/2022/06/02/mass-shootings-in-2022/

About ফাহাদ মজুমদার

Check Also

আমস্টারডামে ইসরায়েলি ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষ

আমস্টারডামের সিটি কাউন্সিলের একজন সদস্য বলেছেন, ‘মাকাবি হুলিগানরাই’ প্রথমে সহিংসতার সূচনা করে এবং ফিলিস্তিনপন্থী সমর্থকদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *